বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি শিল্প হচ্ছে তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাত যা বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮৪.২১% এবং জিডিপির ২০% পূরণ করে। ২০২০ এর এপ্রিলে এই রপ্তানি ৮৫.২৫% এ নেমে আসে এবং জিডিপি ৩% কমে যাওয়ার হিসাব করা হয়। কারখানাগুলো খুলে দেওয়া হবে কিনা, এমন আলোচনা-সমালোচনার পর, দেশের অর্থনীতিকে রক্ষার্থে ২৫ এপ্রিলে কারখানা খুলে দেবার একটি গাইডলাইন প্রকাশিত হয় এবং পরে ২৬ এপ্রিল, ২০২০ থেকে কারখানাগুলো সীমিত/আংশিকভাবে খুলে দেবার সিদ্ধান্ত নেয় গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারারস এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)। গাইডলাইনে বিজিএমইএ স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিষয়টিকে সর্বাধিক প্রাধান্য দেয়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ৮ মে পর্যন্ত ৯৭ জন পোশাক শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যাদের ৫২% আক্রান্ত হয়েছে কারখানাগুলো পুনরায় খুলে দেবার পরে। সংক্রমণ প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্যসুরক্ষার নিশ্চয়তা ছাড়াও আরএমজি কর্মীরা তাদের মজুরির জন্য এবং ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন। ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অফ গভর্ন্যান্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) একটি মিডিয়া ট্র্যাকিং কৌশল অনুসরণ করেছে যেখানে তৈরি পোশাক শিল্প এবং এই খাতে কর্মরত ৪.১ মিলিয়ন কর্মী, যাদের অধিকাংশ নারী, তাদের ওপর কোভিড-১৯ কি ধরণের প্রভাব ফেলছে তা বোঝা যাবে। এই গবেষণাটি ট্রেড ইউনিয়ন এবং শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিবর্গ, গার্মেন্টস মালিক, বাংলাদেশ সরকার, বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা গোষ্ঠীর কি ধরণের ভূমিকা রয়েছে তা নির্ধারনের জন্য পরিচালিত হয়েছে। এই সংক্ষিপ্ত আলোচনাটি ১৬ এপ্রিল থেকে ৯ মে, ২০২০ পর্যন্ত তৈরি পোশাক খাতের বর্তমান পরিস্থিতির উপর নির্মিত মিডিয়া রিপোর্টগুলোর সমন্বয়ে গঠিত।
Author: Antara, Iffat Jahan
Type: Research Update
Year: 2020