নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন তাঁর দি আর্গুমেন্টেটিভে ইন্ডিয়ান: রাইটিংস ও ইন্ডিয়ান হিস্ট্রি, কালচার এন্ড আইডেন্টিটি গ্রন্থে র্যা রামমোহন রায়ের একটি উদধৃতি দিয়েছেন, যা এ রকম: আপনার মৃত্যুর দিনটি কী ভনায়ক হবে, সেটা একটু চিন্তা করুন। অন্যরা কেবল বলে যাবে, কিন্তু আপনি তাঁর জবাব দিতে পারবেন না। কথা বলতে না পারা ও না বলতে পারার ব্যবধান জীবন-মৃত্যুর সমতুল্য। এখানে আমরা আলোচনা করতে চাই বাংলাদেশে নারীর কণ্ঠস্বর বিষয়ে, আরোও স্পষ্ট করে বলা যায় পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে তাঁদের অবস্থান ও মতামত প্রয়াসের বিষয় নিয়ে । এ ক্ষেত্রে রাষ্ট ও সমাজে এমন কিছু কাঠামোগত উপাদান রয়েছে , যা নারীর মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। পাশাপশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এমন সমান্তরাল শক্তিও সক্রিয় রয়েছে, যা এসব কাঠামোগত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও নারীর জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। আমরা তাঁদের মতামত, এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান কাঠামোগত বাধা, কণ্ঠস্বর সৃষ্টির প্রয়োজনীয় উপাদান, অন্দর থেকে বের হয়ে আসার জন্য নারীর চেষ্টা এব্যগ নারী আন্দোলনের সার্বিক বিষয়ে বর্তমান লেখার আলোচনা করব।
লেখক: মহসীন, আমেনা
প্রকার: ওয়ার্কিং পেপার
সাল: ২০১১