সামাজিকতায়, সাংস্কৃতিক কুশল বিনিময়ের ‘দৈহিক ভাষা’ যা মূলত মানুষের সাথে সংযুক্ত থাকার ভঙ্গি, ‘ধর্মীয় আচার প্রতিপালন’, ঈদ বা খুশির ধারণা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ, প্রিয়জনদের দূরে রেখে ঈদ করার কষ্ট, চিরায়ত সাংস্কৃতিক অভ্যাস ও মূল্যবোধ, মৃত্যুভয়কেও তোয়াক্কা করে না। বর্তমান করোনা সংকটকালে গণপরিবহন যখন লকডাউনে, তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পণ্যবাহী পিকাপভ্যানে, ট্রাকের ভেতর তেরপলের তলে আলু, চালের বস্তারমতো গাদাগাদি করে মানুষ শহর থেকে গ্রামমুখী হয়েছে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে। আবার কেউ অধিক অর্থ ব্যয় করে ভেঙে ভেঙে ইজিবাইক, ইঞ্জিন রিকশা, পেডেল রিকশা, ভটভটি, ভাড়ায় মোটরসাইকেল, নসিমন, করিমন, পায়ে হেঁটে ফিরেছে গ্রামে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে। একদল মানুষ নিজেদের মটর সাইকেলে করে ফিরেছে, কেউ ভাড়ায় চালিত ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ফিরেছেন। কেউ হয়তো ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে গ্রামমুখী হয়েছেন, আর যারা ভিআইপি, তারা হয়তো যথাযথ প্রটোকল নিয়েই নিজ একাকায় আনন্দ ভাগাভাগি কাম রাজনৈতিক দ্বায়িত্ব পালন করতে গেছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায়, নাগরিক মানুষের গ্রামে যাওয়ার সময় ব্যবহৃত যানবাহন ও তাদের ‘ঈদ যাত্রায় ব্যক্তি আচরণকে’ (বিহেভিওর্যাল আস্পেক্ট) বিবেচনা করলে একটা সামাজিক স্তরায়ন খুব সহজেই দেখতে পাওয়া যায়। সে বিষয়ে আলোচনা করলে ‘চাকরি থাকবে না’ (*১)। প্রসঙ্গ না বাড়িয়ে শুধু একটা কথা বলি, ঈদে বাড়ি ফেরাকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রের নীতি প্রণয়নে যে দ্বিধা ও দ্বৈততা তা খুবই নগ্ন হয়ে সামনে এসেছে।
সামাজিকতায়, সাংস্কৃতিক কুশল বিনিময়ের ‘দৈহিক ভাষা’ যা মূলত মানুষের সাথে সংযুক্ত থাকার ভঙ্গি, ‘ধর্মীয় আচার প্রতিপালন’, ঈদ বা খুশির ধারণা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ, প্রিয়জনদের দূরে রেখে ঈদ করার কষ্ট, চিরায়ত সাংস্কৃতিক অভ্যাস ও মূল্যবোধ, মৃত্যুভয়কেও তোয়াক্কা করে না। বর্তমান করোনা সংকটকালে গণপরিবহন যখন লকডাউনে, তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পণ্যবাহী পিকাপভ্যানে, ট্রাকের ভেতর তেরপলের তলে আলু, চালের বস্তারমতো গাদাগাদি করে মানুষ শহর থেকে গ্রামমুখী হয়েছে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে। আবার কেউ অধিক অর্থ ব্যয় করে ভেঙে ভেঙে ইজিবাইক, ইঞ্জিন রিকশা, পেডেল রিকশা, ভটভটি, ভাড়ায় মোটরসাইকেল, নসিমন, করিমন, পায়ে হেঁটে ফিরেছে গ্রামে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে। একদল মানুষ নিজেদের মটর সাইকেলে করে ফিরেছে, কেউ ভাড়ায় চালিত ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ফিরেছেন। কেউ হয়তো ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে গ্রামমুখী হয়েছেন, আর যারা ভিআইপি, তারা হয়তো যথাযথ প্রটোকল নিয়েই নিজ একাকায় আনন্দ ভাগাভাগি কাম রাজনৈতিক দ্বায়িত্ব পালন করতে গেছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায়, নাগরিক মানুষের গ্রামে যাওয়ার সময় ব্যবহৃত যানবাহন ও তাদের ‘ঈদ যাত্রায় ব্যক্তি আচরণকে’ (বিহেভিওর্যাল আস্পেক্ট) বিবেচনা করলে একটা সামাজিক স্তরায়ন খুব সহজেই দেখতে পাওয়া যায়। সে বিষয়ে আলোচনা করলে ‘চাকরি থাকবে না’ (*১)। প্রসঙ্গ না বাড়িয়ে শুধু একটা কথা বলি, ঈদে বাড়ি ফেরাকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রের নীতি প্রণয়নে যে দ্বিধা ও দ্বৈততা তা খুবই নগ্ন হয়ে সামনে এসেছে।